টবে থাকা গাছের গোড়ায় শ্যাম্পু দিলে কি হবে জানেন! ফলাফল দেখলে ভাববেন আগে জানলে ভালো হতো









নিজস্ব প্রতিবেদন: চুলের যত্নে শ্যাম্পুর ভূমিকা আপনাদের সকলেরই জানা রয়েছে। তবে আপনারা কি জানেন এই শ্যাম্পু গাছের যত্ন করতেও আপনাদের সাহায্য করতে পারে? আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সেই বিষয় নিয়েই কিছু বিস্তারিত তথ্য দিতে চলেছি যা হয়তো অনেকটাই কাজে লাগবে। নিশ্চয়ই আমাদের পাঠকদের মধ্যে অনেক বাগানপ্রেমী মানুষ হয়েছেন যারা বাড়িতে গাছ গাছালি বড় করে তুলতে অত্যন্ত পছন্দ করেন।
আজকাল যদিও খোলামেলা জমে অনেকটাই কম তাই স্বাভাবিকভাবেই কিচেন গার্ডেন আর ছাদ বাগানের ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু সেটাই বা কম কিসে? খুব সহজেই তো উপযুক্ত পরিচর্যা এবং যত্ন দিয়ে ছাদ বাগানে বিভিন্ন ফুল ফলের কাজ বড় করে তোলা যায় যা দেখতেও ভীষণ সুন্দর লাগে। তবে গাছের পরিচর্যা করা কিন্তু ভীষণভাবে প্রয়োজন না হলে কখনোই সেগুলো বড় হবে না।




লক্ষ্য করে দেখবেন বসন্ত ঋতুতে প্রত্যেকটি গাছ নতুনভাবে সেজে উঠতে শুরু করে। গাছের প্রতিটি জায়গায় পাতায় ভরে যায়। এই সুযোগে বিভিন্ন কচি পাতাগুলোতে কিন্তু প্রচুর পোকামাকড়ের আক্রমণ এবং বংশবিস্তার হয়। কিছু পোকা গাছের পাতাগুলোকে খেয়ে ফেলে আবার কিছু পাতার রস শোষন করে নেয় ফলস্বরূপ গাছটি ধীরে ধীরে দুর্বল বা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। এই পোকামাকড় তাড়ানোর জন্যই আজ আমরা সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে শ্যাম্পু ব্যবহার করে একটি পেস্টিসাইড তৈরির কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। এর জন্য কি কি করতে হবে জানতে চাইলে আমাদের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।




প্রথমেই একটা পাত্রের মধ্যে এক লিটার পরিমাণ জল নিয়ে নিন। ১ লিটার জলের মধ্যে হাফ চামচ পরিমাণ ক্লিনিক প্লাস শ্যাম্পু মিশিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে নেবার পর এখানে দিতে হবে যে কোন হ্যান্ডওয়াশ। এটাও হাফ চামচ পরিমাণ এই ব্যবহার করবেন। এবার এই জলের মধ্যে আপনাদের ৬ থেকে ৮টি রসুনের কোয়া এবং ৪ টি কাঁচা লঙ্কার পেস্ট যোগ করে দিতে হবে। রসুন আর কাঁচালঙ্কার মিশ্রণে একটা ঝাঁঝালো গন্ধ সৃষ্টি হয় যা গাছকে বিভিন্ন পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। এই দ্রবণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দেবেন এবং তারপর ব্যবহার করার উপযোগী হবে।
ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে অবশ্য একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নেবেন। তারপর কোন একটি স্প্রে বোতলে ভরে এটাকে বেশ কিছুক্ষণ সময় আপনাদের রেখে দিতে হবে। বিকেলের দিকে যে সমস্ত গাছে পোকার আক্রমণ হয়েছে; অথবা গাছের পাতা কুঁকড়ে গিয়েছে মিলিবাগের আক্রমণের কারণে সেসবে প্রয়োগ করতে পারেন। দেখবেন ধীরে ধীরে পোকার আক্রমণ খুব সহজেই দূর হয়ে গিয়েছে এবং গাছ ধীরে ধীরে সুস্থ আর সতেজ হয়ে যাচ্ছে।











