শীতকালে বাড়িতে থাকা জবা গাছের গোড়ায় রোজ দিন এই একটি ঘরোয়া জিনিস, মাত্র ৫দিনেই ছোট্ট গাছে আসবে প্রচুর কুঁড়ি









নিজস্ব প্রতিবেদন: জবা গাছ হল এমন একটি ফুলের গাছ যার প্রয়োজনীয়তা নিত্য পুজোর ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। আমাদের অনেকের বাড়িতেই কিন্তু এই জবা গাছ রয়েছে। গাছ থাকলে সেটা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা থাকবে এটাও খুবই স্বাভাবিক। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে তাই আমরা পাঠক বন্ধুদের সাথে এমন একটি সার তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করে নেব যাতে কখনোই জবা গাছের কুড়ির অভাব হবেনা আবার পাশাপাশি গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সমস্যা নিমেষে দূর হয়ে যাবে।
চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটা শুরু করা যাক। সব সময় মনে রাখবেন বাড়িতে থাকা যে কোনো গাছকেই কিন্তু আপনাদের উপযুক্ত খাবার আর জল প্রদান করতে হবে। কারণ উপযুক্ত পরিচর্যা ছাড়া কোনোভাবেই কিন্তু গাছ বেঁচে থাকতে পারবে না।




প্রথমেই জানাই আপনাকে কিন্তু উপযুক্ত পরিমাপ অনুযায়ী গাছের গোড়ায় সার প্রয়োগ করতে হবে অর্থাৎ পরিমাণ যেন কম বেশি না হয়ে যায়। দ্বিতীয় যে কাজটা করবেন তা হলো সময় মতন এই গাছের পাতা কিন্তু আপনাদের ছেটে দেওয়ার কাজ করতে হবে। এটা না করলে গাছে কোনভাবেই ভালো কুড়ি আসবে না।
এবার আসা যাক সেই বিশেষ সারের কথায় যেটা আপনারা সহজেই বাড়িতে তৈরি করে জবা গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে পারবেন। এর জন্য একটা পাত্রের মধ্যে বেশ কিছুটা কলার খোসা নিয়ে সেটাকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। তারপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে আপনাদের ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে যাতে কলার নিদ্রাস জলের মধ্যে চলে যায়।




সহজেই কিন্তু এই সার থেকে আপনারা পটাশ আর নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। সপ্তাহে একবার এই কলার খোসা মিশ্রিত তরল সার প্রয়োগ করলে কিন্তু জবা গাছে অসাধারণ পরিবর্তন আপনারা দেখতে পারবেন। শুধুমাত্র কুড়ি ঝড়ার সমস্যা নয় গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে গাছে ফুল না আসার সমস্যাতেও কিন্তু এই কলার খোসা দিয়ে তৈরি তরল সার আপনাদের অনেকটাই সাহায্য করবে।।
কলার খোসার নির্যাস ভালোভাবে জলে মিশে যাওয়ার পর একটা চাকরির সাহায্যে ছেঁকে নিয়ে অথবা ওই অবস্থাতেই কিন্তু সরাসরি আপনারা গাছের গোড়াতে প্রয়োগ করে দেবেন। কেমন লাগলো আজকের এই বিশেষ টিপস টা অবশ্যই একটা কমেন্ট করে জানানোর অনুরোধ রইল।











