বাড়ির ছাদে বা উঠোনে এই সহজ গোপন ট্রিকসে লাগান কলার চারা, অল্পদিনেই ছোট গাছ ভরে ধরবে প্রচুর কলা









নিজস্ব প্রতিবেদন: দৈনন্দিন গ্রহণযোগ্য অত্যন্ত পুষ্টিকর ফলের মধ্যে রয়েছে কলা। কাঁচা আর পাকা উভয় অবস্থাতেই এটাকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ডাক্তারেরাও কিন্তু কলা গ্রহণ করার কথা বলেন। কলার মধ্যে রয়েছে মিনারেল, ভিটামিন এবং ফাইবার।ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল শরীরে যেমন ইমিউনিটি তৈরি করতে পারে তেমনি প্রতিদিন একটা করে কলা খেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমে যায়।
আপনারা খুব সহজেই বাড়িতে এই ফলের চাষ করে নিতে পারেন। নার্সারিতে খুব ভালো জাতের কলা ছাড়া পেয়ে যাবেন সহজেই। তবে চাইলে কিন্তু বাড়িতেও এই চারা খুব সহজে তৈরি করা যেতে পারে। তার জন্য খুব একটা খাটনির প্রয়োজন নেই। আজ আমরা সেই পদ্ধতি সম্পর্কেই আলোচনা করতে চলেছি।




চারা তৈরি করার জন্য বাজার থেকে প্রথমেই একটা গোটা কাঁচা কলা কিনে নিয়ে আসুন। এবার এর নিচের অংশ অর্থাৎ গোড়ার দিক সামান্য কেটে ফেলবেন। একটা পাত্রের মধ্যে কিছুটা পরিমাণ পাতা পচা জল নিয়ে সেখানে কলা চুবিয়ে রাখুন। এই সময় মধ্যে আপনাদের সংগ্রহ করে নিতে হবে অ্যালোভেরা পাতা। কমবেশি আপনারা সকলেই জানেন অ্যালোভেরা রুটিং হরমোন হিসেবে কাজ করে থাকে। কয়েক ঘণ্টা পর জল থেকে কলাটি তুলে এর বোটার অংশ অ্যালোভেরা পাতার জেলের মধ্যে দশ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে মাটিতে প্রতিস্থাপন করে দিন। অবশ্যই মাটিতে রোপন করার পর কিন্তু একটা প্লাস্টিকের কন্টেনার দিয়ে সেটাকে ঢেকে দিতে ভুলবেন না।




এই পর্যায়ে কখনোই সরাসরি টব রোদে রাখা উচিত নয়। মোটামুটি দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করলেই দেখতে পাবেন কলার বোটার দিকটাতে নতুন মূল বা শিকড় বেরিয়ে এসেছে। এই সময় কলাটিকে খোলা মাটিতে বা বড় কোন টবে প্রতিস্থাপন করে দিতে হবে। প্রতিস্থাপন করার জন্য যে মিডিয়া ব্যবহার করবেন তাতে মাটির সঙ্গে অবশ্যই জৈব সার মিশিয়ে নেবেন। এই ধরনের মিডিয়া তৈরি করলে গাছের বৃদ্ধিতে কোন সমস্যা হবে না। রোপন করার ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যেই নতুন চারা বের হয়ে যাবে।
যারা একটু বড় হতে শুরু করলে এটাকে ভালো কোন জায়গায় রোপন করবেন এবং পরিমাণমতো সার আর জল প্রয়োগ করবেন। ধীরে ধীরে গাছ পরিণত হয়ে গেলে আপনাকে ফল দিতে শুরু করবে। আজকের এই বিশেষ টিপস আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। যদি আপনিও বাগানপ্রেমী মানুষদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই পরীক্ষামূলক পদ্ধতিটি একবার হলেও ট্রাই করে দেখুন।











