মুরগীর মেটে খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? দায়িত্বশীল মানুষের অবশ্যই জানা উচিত!









নিজস্ব প্রতিবেদন :- স্বাস্থ্য সম্পর্কে আমাদেরকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে । কারণ বর্তমানে যে হারে নকল জিনিস এর ছড়াছড়ি রয়েছে বাজারে ।তাতে যে কোনো সময় শরীরের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে । তাই যে কোন কিছু খাবার আগে বা কোন কিছু ব্যবহার করার আগে অতি অবশ্যই সে বিষয়ে আপনাকে বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা নিজেদের বাচ্চাদেরকে বুদ্ধিমান এবং শক্তিশালী করে তোলার জন্য মুরগির কলিজা খাইয়ে থাকে । কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে এটা কতটা ক্ষতি করছে আপনার শিশুকে ।




একজন দায়িত্বশীল বাবা হিসেবে বা অভিভাবক হিসেবে আপনার এই বিষয়ে নজর রাখা জরুরি । মুরগির কলিজা বা মানুষের কলিজা হলো শোধনাগার । অর্থ আমাদের দেহের মধ্যে যা কিছু বর্জ্যপদার্থ তা সংগ্রহ করে রাখে কলিজা । মুরগির ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা দেখা যায় । বাজার থেকে যে ধরনের মুরগি কিনে আনা হয় সেই মুরগিগুলোকে যে খাবার খাইয়ে রাখায় তা অত্যন্ত রাসায়নিক যুক্ত হয় ।অর্থাৎ ক্রোমিয়াম নামক এক প্রকার রাসায়নিক তাদের খাবারের সাথে মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়ানো হয় ।




যার ফলে মুরগির বৃদ্ধি ঘটে খুব অল্প সময়ের মধ্যে । কিন্তু এই ক্রোমিয়াম প্রতিনিয়ত জমা হতে থাকে মুরগির কলিজার মধ্যে । তারপর সেটি জমা হয় মস্তিষ্কের তারপর হারে এবং সবথেকে কম থাকে মাংসে । কিন্তু তবুও তার পরিমাণ খুব কম তেমন কিন্তু নয় । তাই ডাক্তারবাবুরা এমনটা পরামর্শ দিয়ে থাকেন বাড়ির প্রতিটি বাবা মা দের কে যে দরকার হলে বাচ্চা মুরগির হাড়ের জুস বা মুরগির মাংস খাওয়ানো উচিত বড় মুরগির তুলনায় ।




কারণ বাচ্চা মুরগির মধ্যে ক্রোমিয়াম এর সংখ্যা অনেক কম থাকে । আপনাকে যদি বলা হয় যে আর্সেনিকযুক্ত জল আপনি আপনার শিশুকে পান করান বা ফরমালিনের চুবানো কোন ফল আপনি আপনার শিশুকে খাওয়ানো তাহলে কি আপনি সেটা করতে পারবেন? পারবেন না । কারণ আপনি জানেন যে আর্সেনিক এবং ফরমালিন শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষ-তিকর । ঠিক তেমনি হচ্ছে ক্রোমিয়াম । তাই মুরগির কলিজা খাওয়ার আগে একবার ভেবে চিন্তে দেখবেন ।











