“রেপ করে দেবো! ডেড করে দেবো!”, থানায় পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে হুমকি অভিনেত্রী নবনীতাকে, চরম ভাইরাল ভিডিও





নিজস্ব প্রতিবেদন: টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের তালিকায় রয়েছেন নবনীতা দাস। অভিনেত্রী ছাড়াও তার একটি পরিচয় রয়েছে তা হল জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু কমলের স্ত্রী তিনি। মহাপীঠ তারাপীঠ ধারাবাহিকে মা তারার ভূমিকায় অভিনয় করে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন নবনীতা। এই ধারাবাহিকে তার অভিনয় দর্শকদের এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেলেও কিন্তু অভিনেত্রীকে ভুলতে পারেননি কেউ।
কিন্তু সম্প্রতি তিনি এমন একটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন যা ভীষণ দুঃখজনক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এলাকায় জিতুর গাড়িকে ধাক্কা মারার অভিযোগে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন জিতু এবং নবনীতা। কিন্তু নিমতা থানায় যখন তারা অভিযোগ জানাতে যান, তখন নবনীতা দাস কে রীতিমতন ধর্ষণের হুমকির মুখোমুখি হতে হয়। এরপরেই নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি লাইভ ভিডিও শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী এবং সেখানে সম্পূর্ণ ঘটনাটি বিস্তারিত জানান তিনি।




ফেসবুক লাইভে নবনীতা জানান যে যুবক তাদের গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল থানাতেই সেই অভিযুক্ত উপস্থিত ছিল। আচমকাই সেই যুবক পুলিশের সামনে নবনীতা কে নানান ধরনের হুমকি দিতে থাকে। ফেসবুক লাইভে অভিনেত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, “রেপ করে দেব, ডেড করে দেব বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাও থানার সামনে দাঁড়িয়ে। তাহলে বাইরে কী হবে?” অভিনেত্রী আরো বলেন, “আমাদের দোষ এটাই যে আমরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়েছি।
খুব বড় অন্যায় এটা! তাই আমাদের এভাবে থ্রেট করা হচ্ছে।” অভিনেত্রী এই অভিযোগের পরে যখন জিতু কমল এর কাছে পুরো ঘটনা জানতে চায় সংবাদ মাধ্যম তখন তিনি জানান, “একটা গাড়ি প্রথমে এসে আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। আমার ড্রাইভার ধরতে গেলে তাঁকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তখন সে গাড়ির কাচে মেরে বাঁচার চেষ্টা করেন।”




অভিনেতা আরো বলেছেন যে, “এক ঘণ্টা ধরে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। পুলিশ একজন মহিলার সঙ্গে যে ব্যবহার করল, তা অকল্পনীয়। আগেও এই থানায় GD করতে এসে আমি হেনস্থার শিকার হয়েছিলাম। আবারও হেনস্থা করা হচ্ছে। আমি ACP স্যারকে ফোন করেছিলাম। তিনি জেনারেল ডায়েরি করতে বলেছেন”। অন্যদিকে নবনীতার আরো অভিযোগ, “থানার সামনে একদল ছেলে জড়ো করেছে। আমাকে রেপ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এটা কী ধরনের জিনিস?” জিতু বলেন, এই পুরো ঘটনার ভিডিও রয়েছে তাঁর কাছে। এমনকি নিমতা থানার একজন পুলিশ অফিসারকেও তিনি ভিডিওতে ধরেন। অভিনেতা সেই পুলিশ আধিকারিককে বারবার প্রশ্ন করেন, “কেন আপনি ছেলেটাকে পালিয়ে যেতে বলছিলেন? কেন ওদের পক্ষ টেনে কথা বললেন?” জিতুর প্রশ্নের উত্তরে ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমি ঝামেলা থামানোর চেষ্টা করেছি”। যদিও অন্যদিকে জিতুর দাবি, “মোটেই না। আমরা ভিডিয়ো করছিলাম
তাই আপনি পালিয়ে যেতে বলেছেন। সেটাও ভিডিয়োতে ধরা পড়েছে।” ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গোটা সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে হইচই সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। ফেসবুক লাইভ টি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই নিজস্ব মতামত রেখেছেন এবং পুলিশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উল্লেখ্য ঘটনা চলাকালীন নবনীতা অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু জানা যায়, নিমতা থানায় তাকে বসার জায়গা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।











