বাড়ির উঠোনে টবের মধ্যেই এই সহজ গোপন ট্রিকসে করুন টমেটো চাষ, মাত্র কয়েকদিনেই ছোট্ট গাছে ধরবে প্রচুর টমেটো









নিজস্ব প্রতিবেদন: আমাদের সকলেরই পছন্দের সবজির তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে টমেটো। ভারত থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক দেশেই কিন্তু এই সবজিকে খাদ্য হিসেবে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। টমেটো এমন একটি সবজি যাকে কাঁচা অবস্থায় যেমন স্যালাডের সাথে খাওয়া যায়,ঠিক তেমনভাবেই কিন্তু এটি দিয়ে চাটনি থেকে শুরু করে নানান ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন কেচাপ বা সস তৈরি করেও গ্রহণ করা যায়। সুতরাং বাজার চাহিদার দিক থেকে বলতে গেলে এর কোন বিকল্প নেই।
হাইড্রোপনিক বা অ্যাকোয়াপনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের বেশিরভাগই টমেটো। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতেই টমেটো চাষ সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। এই পদ্ধতিতে উৎপন্ন টমেটো যেহেতু বড় আকারের হয়ে থাকে তাই লাভের পরিমাণও কিন্তু কৃষকদের অনেকটাই বেশি হয়।। চাইলে আপনারাও খুব সহজে বাড়িতে এই পদ্ধতিতে টমেটো উৎপাদন করতে পারেন।




আপনি কৃষক বা সাধারণ মানুষ যে হিসেবেই চাষ করুন না কেন এই পদ্ধতিতে কিন্তু লাভের পরিমাণ নিয়ে কোনো রকম চিন্তা করতে হবে না। টমেটোর মধ্যে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেই গুণ কিন্তু খুব কম সবজির মধ্যেই রয়েছে। টমেটো থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আর ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়াও টমেটোর মধ্যে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা আমাদের রাতকানা রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন টমেটোর মধ্যে এমন কিছু গুনাগুন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে থাকে।চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে কিভাবে টমেটো উৎপাদন করা যেতে পারে এই বিশেষ পদ্ধতিতে জেনে নেওয়া যাক।
আপনার বাড়িতে খুব বড় জায়গা না থাকলে কৌটোর সাহায্যেই কিন্তু টমেটো চাষ করতে পারেন। এর জন্য আপনাদের প্রথমেই কয়েকটি খালি প্লাস্টিকের কৌটো নিয়ে নিতে হবে। এই কৌটোগুলোর উপরের অংশ কেটে ছিদ্র করে নেবেন। কয়েকটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে কেটে ফেলুন।মাটির মধ্যে এই স্লাইস গুলোকে রেখে উপরে আরো কিছুটা মাটি চাপা দিয়ে একটা লেয়ার সৃষ্টি করুন।




এবারে এগুলোকে অল্প ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। মোটামুটি দশ দিনের মধ্যেই কিন্তু এগুলো থেকে চারা বেরিয়ে আসবে। প্রথমে যে কৌটোগুলো নিয়েছিলেন তাতে মাটি ভরে নিন।টমেটো স্লাইস থেকে বেরোনো চারাগুলোকে এই মাটিতে রোপন করুন। চারা রোপন করা হয়ে গেলে ওপর থেকে আরেকটা প্লাস্টিকের ছোট বোতলে করে ফলের টুকরো ভরুন। এটা একটা বড় কৌটার মধ্যে রাখতে হবে। এই জিনিসটাকে পরে প্রয়োজন মতন আপনারা কিন্তু সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
হুক বা পেরেকে বড়ো প্লাস্টিকের কৌটো দড়ির সাহায্যে ঝুলিয়ে রাখবেন আর নিয়মিত গাছের চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণ বুঝে জল দিতে থাকবেন।যখন চারাগুলির মোটামুটি ১৫ দিন বয়স হয়ে যাবে তখন প্রতি সপ্তাহে এতে শুকনো কলার খোসা গুঁড়ো করে প্রয়োগ করতে শুরু করুন।
পরবর্তী ২০ দিনের মধ্যেই গাছগুলি আরো বড় হয়ে যাবে। দড়ি বেয়ে যখন গাছগুলি উঠতে শুরু করবে তখন এর নিচের দিকের কয়েকটি পাতা একটু ছেঁটে দেবেন। ৩০ দিন হতে না হতে কিন্তু গাছে ফুল চলে আসবে। এই সময় আবারও নিচের দিকের পাতা ও উপরের ডগা আপনারা কাটবেন। ব্যাস এর পরেই ফলন ধরবে আর টমেটো খাবার উপযুক্ত হয়ে যাবে।











