বাড়ির ছাদে বা উঠোনে টবে থাকা গাঁদা গাছের গোড়ায় রোজ দিন এই ঘরোয়া উপাদান, কয়েকদিনেই গাছ ভরে যাবে ফুলে









নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতকালীন ফুল হিসেবে আমরা প্রথমেই গাদা ফুলের কথা উল্লেখ করতে পারি। কমবেশি অনেক বাড়িতেই কিন্তু বাগানে এই ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। পুজো পার্বণ এর হিসেবেও গাঁদা ফুলের চাহিদা অনেক। কিন্তু সঠিক পরিচর্যা ছাড়া অন্যান্য গাছের মতন গাঁদা ফুল গাছ ও বড় করে তোলা সম্ভব নয়।
আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা তাই আপনাদের জন্য নিয়ে চলে এসেছি এই গাছের সঠিক পরিচর্যা পদ্ধতি যাতে প্রচুর পরিমাণ ফুল আসে। অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন কারণে গাদা ফুল গাছে ঠিকভাবে ফুল ধরছে না, পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে বা অন্যান্য সমস্যা হচ্ছে। তখন অনেকেই ঠিক কি করনীয় সেটা বুঝতে পারেন না।
গাঁদা ফুল গাছের যত্ন কিভাবে নেবেন ?
১)এই ফুল গাছ লাগানোর পর দশ দিনের মাথাতেই কিন্তু আপনাদের সার দিতে হবে। মনে রাখবেন এই গাছ যতটা রোদে রাখবেন ততটাই ভালো।গাছের প্রথম কুঁড়ি যখন আসবে সেটাকে কেটে ফেলবেন। অনেক সময় এই প্রথম কুড়ি কিন্তু গাছের সমস্ত পুষ্টি শোষণ করে নেয় যার ফলস্বরূপ গাছ বৃদ্ধি পেতে পারে না। তাই সময়মতো এটি কেটে দিলে গাছ ঝাঁকড়া হবে।




২) যেকোনো ফুল গাছের রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলে যেহেতু খুব ভালো হয় তাই এখানে আপনি সুপার ফসফেট প্রয়োগ করতে পারেন। গাছ ছোট থাকাকালীন ১ চামচ এর কম সার ব্যবহার করতে হবে। ডি এ পি সব নার্সারিতে পাওয়া যায়। এটা আপনি গাছপ্রতি ১০-১২ দানা দেবেন।




তবে ডিএপি কিন্তু একেবারে গাছের গোড়ায় দেবেন না। গোড়া থেকে একটু দূরে এটা প্রয়োগ করবেন এবং দেওয়ার পর একটু মাটি খুঁড়ে দেবেন। গাছকে পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে মোটামুটি ২০ দিন বয়স থেকে সপ্তাহে একবার নিমতেল স্প্রে করতে পারেন। এটি খুবই কার্যকরী।
৩) অনেক সময় গাঁদা ফুল গাছের পাতা কুঁকড়ে যায় এবং আরো নানান ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এপসম সল্ট বা ম্যাগনেশিয়াম সালফেট দিতে হবে। এটাও মাসে একবার জলে গুলে স্প্রে করতে পারেন। সতেজ রাখার জন্য গাছে ইউরিয়া এবং এন পি কে স্প্রে হিসেবে দেওয়া যেতে পারে।











