প্রতিদিন বাড়িতে থাকা গাঁদা গাছের গোড়ায় দিন এই একটি ঘরোয়া উপাদান, মাত্র ৭দিনেই ছোট্ট গাছে ধরবে প্রচুর ফুল









নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতকালে বাড়ির বাগান থেকে শুরু করে অফিস কাছারি প্রভৃতি জায়গায় চোখ রাখলে যে ফুলটা সবার থেকে বেশি নজরে আসে তাহলে গাঁদা ফুল। পুজো পার্বণ থেকে শুরু করে যে কোন উৎসবেও কিন্তু এই ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অনেকেই তাই আজকাল বাড়িতে গাঁদা ফুলের চাষ করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে খুব সহজেই কাটিং এর থেকে কিভাবে চারা উৎপন্ন করে আপনারা সেটা বড় করতে পারেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। সুতরাং যারা গাঁদা ফুল চাষ শুরু করতে চান তারা অবশ্যই আমাদের এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। নিঃসন্দেহে এই তথ্যগুলি আপনাদের অনেকটাই সাহায্য করতে পারবে আশা করি।
গাঁদা ফুলের চারা তৈরি করার বিশেষ পদ্ধতি:
যেকোনো পরিণত গাঁদা ফুলের গাছ থেকে আপনাদের একটা শাখা কেটে নিতে হবে। এবার আপনাদের নিয়ে নিতে হবে একটা এসপিরিন ট্যাবলেট। যেকোনো মেডিকেল স্টোরেই আপনারা এটা পেয়ে যাবেন। এই ট্যাবলেট রুটিং হরমোন হিসেবে কাজ করবে। এক গ্লাস জলের মধ্যে এই ট্যাবলেট দিয়ে দিন এবং ভালো করে গুলে ফেলুন। তারপর গাছের ডাল গুলোকে এই জলের গ্লাসের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে দিন। এভাবে এক ঘন্টা রাখার পর আপনাদের ডালগুলোকে বের করে নিয়ে আসতে হবে।




এবার একটা বড় টবের মধ্যে পরিমাণ মতো বালি নিয়ে তাতে এই ডালগুলোকে রোপন করুন। এভাবে রোপন করে রাখলে মোটামুটি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই চারা গুলো উঠতে শুরু করবে। বালি যেহেতু তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় তাই অবশ্যই ডালগুলোকে বসানোর পর আপনাদের পরিমাণ মতন জল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মোটামুটি ছায়াযুক্ত স্থানেই আপনারা এই টবগুলোকে রেখে দেবেন। সাধারণত নার্সারিতে যে চারা তৈরি করা হয়, ঠিক এভাবেই কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে তারা কাজ করে থাকেন। সুতরাং আপনি যদি এই কাজটি নিজের হাতে করেন তাহলে কম পয়সার মধ্যে ভালো গাছের চারা তৈরি করতে পারবেন।
দেখবেন চারা গুলো বসানোর কুড়ি দিনের মধ্যেই কিন্তু শিকড় চলে আসবে। বালি যেহেতু বেশ পাতলা তাই এর মধ্যে খুব সহজেই শিকড় বেড়ে যেতে পারে। গাঁদা ফুলের চারা তৈরি করা একেবারেই কঠিন কাজ নয়। শুধুমাত্র আপনার সঠিক পদ্ধতি জেনে রাখা দরকার। এবার চারা গাছগুলোকে তুলে এর গোড়া ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। তারপর একটা অন্য টবের মধ্যে গোবর সার, ভার্মিং কম্পোস্ট এবং কোকোপিট মিশিয়ে মাটির সঙ্গে এই চারাগুলো রোপন করে দেবেন। উপযুক্ত পরিচর্যা করলে দেখবেন এই চারা থেকেই প্রচুর পরিমাণে ফুল পাওয়া যাবে।











