প্রায় ১০০০ টাকা কমলো সোনার দাম, বিশ্ববাজারে রেকর্ড দামে পতন সোনার, রইল দাম!









নিজস্ব প্রতিবেদন :- পুনরায় নিম্নমুখী হলুদ ধাতুর নাম । সোনা বাড়িতে মজুদ করে রাখার সিদ্ধান্ত বা প্রবণতা নতুন নয় বহু প্রাচীন যুগ থেকে এই প্রবণতা দেখা যায় মানুষের মধ্যে । কারণ এর দাম যেহেতু সোনার দাম অন্য ধাতুর তুলনায় অধিক পরিমাণে বেশি । তাই এই সোনার কিনে রাখতে বা সোনার গয়না তৈরি করে রাখতে পছন্দ করেন দেশের প্রতিটি মানুষ । অনেকে হয়তো নিজেদের অর্থের অভাবে জন্য করতে পারে না কিন্তু এবার থেকে তারাও করতে পারবে ।কারণ পরপর দুইদিন ধরে রেকর্ড হারে কমছে সোনার দাম ।একদম ঠিক শুনেছেন । এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ভিড় উপচে পড়ছে রীতিমতো সোনার দোকানে।




আমরা প্রতিনিয়ত এমনটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি যে দিন সোনার দাম কম থাকবে এবং যখনই সোনার দাম কম থাকে তখনই আমরা আমাদের পছন্দ মতন গয়না তৈরি করে রাখি বা কিনে রাখি । যার ফলে কিছুটা হলেও চিন্তিত হয়ে পড়েন সোনা বিক্রেতারা । অপরদিকে সোনা গ্রাহকদের প্রেমীদের মনে খুশির আনন্দের জোয়ার আসে ।তবে সম্প্রতি যে ঘটনাটি দেখা গেছে তাদের রীতিমতো আনন্দে ভাসছে দেশ । আগের থেকে প্রায় ১০,০০০ টাকা কম পাওয়া যাচ্ছে এই মুহূর্তে সোনার দাম কত।




গতবছর আগস্ট মাসের সোনার দাম অর্থাৎ ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৬ হাজার থেকে ৫৭ হাজার এর মধ্যবর্তী কিন্তু এবার সেই দাম কমেছে ৪৬ হাজার যা ক্রেতারা কিনতে পারবে ৪৭ হাজার টাকায় । একদমই ঠিক শুনেছেন কিন্তু অন্যান্য বারের মতন রুপোর দাম কিন্তু কমেনি বরং বেড়ে গিয়ে এক কেজি রুপোর দাম । এক কেজি রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজারের কাছাকাছি। সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে সোনার দাম ঘুরে দাঁড়ানো এক অদূর ভবিষ্যৎ ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রাথমিকভাবে ৪৭,৫০০ টাকার দিকে এগিয়ে যাবে,




যা পরবর্তীকালে আরো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়াতে পারে ৪৮,১০০ টাকায়। আবার অন্যদিকে ৪৬,৫০০ থেকে ৪৬,৩০০ টাকার সহায়তার স্তরে নেমে আসলে বিক্রির চাপ বেড়ে যাবে। যার ফলে হলুদ ধাতুর সহায়তার স্তরে ৪৫,৫০০ টাকা থেকে ৪৫,৩০০ টাকায় এসে দাঁড়াবে। তারইমধ্যে বিশ্ব বাজারে এক আউন্স সোনার দর আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১,৭৬৩.৬৩ ডলার। তার ফলে সাড়ে চার বছরে সর্বাধিক মাসিক পতনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে হলুদ ধাতু। জুনে সোনার দাম প্রায় ৭.৫ শতাংশের মতো কমেছে।




বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের আচমকা সিদ্ধান্তের জেরে হু-ড়মু-ড়িয়ে কমেছে সোনার দাম। তার জেরে এক আউন্স সোনার দাম ১,৮০০ ডলারের নীচে নেমে গিয়েছে। চলতি মাসে ব্লুমবার্গের ডলার স্পট ইনডেক্স বেড়েছে। যা গত বছরের মার্চের পর সবথেকে বেশি উত্থান। তার ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সোনার দাম অনেকটা বেড়েছে।এই খবর প্রকাশ উঠে আসার পর থেকেই পুরোপুরি ভিড় লেগেছে সোনার দোকানে কারণ এটাই হলো সুবর্ণ সুযোগ এবং এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে প্রত্যেক সোনা প্রেমীরা ।











